তদন্তের ফলাফল

নাচি অ্যাপারেল (ভারত) ২০২২

এই কারখানায় লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা এবং হয়রানির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শ্রমিক সংগঠনগুলি নাৎচি  মালিক ইস্টম্যান অ্যাপারেল এবং এইচ&এম (H&M)-এর সাথে বাধ্যতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নাৎচি ফ্যাক্টরিতে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা এবং হয়রানি, অন্যান্য ধরণের অবমাননাকর আচরণ এবং সংঘ বানানোর স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ সম্পর্কিত ভারতীয় আইন, আন্তর্জাতিক শ্রম মান এবং/অথবা বিক্রেতার আচরণবিধি (ভেন্ডর কোড অফ কন্ডাক্ট)  লঙ্ঘন করে এমন অসংখ্য রেওয়াজ খুঁজে পেয়েছিল ডবলু আর সি এবং তার পরেই এই চুক্তিগুলিতে পৌঁছানো হয়েছিল।

 

পোশাক নিটওয়্যার  লিমিটেড (বাংলাদেশ) ২০২১

পোশাক শিল্পে দীর্ঘস্থায়ীভাবে কম মজুরির প্রদানের ফলে বেশিরভাগ গার্মেন্টস শ্রমিকরা কোভিড-১৯ সংকটের প্রাক্কালে কোনো সঞ্চয় করতে পারেননি। যেহেতু পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলির বেশিরভাগ সরকারই অল্প বা কোন বেকারত্ব সুবিধাই প্রদান করে না, তাই একজন গার্মেন্টস বা পোশাক শিল্পের কর্মী যদি দীর্ঘদিন কাজ না করেন বা পান, তবে, তাঁর এবং তাঁর পরিবার যাতে  তাৎক্ষণিক দারিদ্র্যের মধ্যে নিমজ্জিত না হন, তা আটকানোর বা রোখার একমাত্র উপায় হল আইনত বাধ্যতামূলক বিচ্ছেদ সুবিধা যা বেশিরভাগ গার্মেন্টস শ্রমিক ইস্তফার পরে পেয়ে থাকেন।

ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়াম (ডব্লিউআরসি) এর গবেষণা থেকে জানা যায় যে মহামারী চলাকালীন বরখাস্ত করা অনেক গার্মেন্টস কর্মীকে এই প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণের কিছুটা বা পুরোটাই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে আইন এবং শ্রম অধিকারের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের মাধ্যমে,  এবং তা করেছে সেইসব ব্র্যান্ড যাদের পোশাক তাঁরা সেলাই করেন।

পোশাক নিটওয়্যার হল ডব্লিউআরসি -এর রিপোর্ট, “ফায়ার্ড, দেন রব্ডঃ ফ্যাশন ব্র্যান্ডস’ কমপ্লিসিটি ইন ওয়েজ থেফ্ট ডিউরিং কোভিড-১৯,” এ চিহ্নিত ৩১টি রপ্তানি পোশাক কারখানার মধ্যে একটি, যা এখনও ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত শ্রমিকদের আইনত বাধ্যতামূলকভাবে ইস্তফার ক্ষতিপূরণ দেয়নি।

২০২০ সালের জুনে, পোশাক নিটওয়্যারস বন্ধ হয়ে গেলে ৪০০ জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্তও, সেইসব শ্রমিকরা তাঁদের  $১২০,০০০ ক্ষতিপূরণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, যা তাঁদের আইনত পাওনা।

পোশাক নিটওয়্যারস লিমিটেড, একটি সেলাই কেন্দ্র, যা  সামির প্লাজা, ডিইপিজেড টঙ্গী-আশুলিয়া রোড, জামগড়া, আশুলিয়া, ঢাকায় অবস্থিত। ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণা উদ্যোগ যা আগে বর্ণিত হয়েছে) এর  ক্রেতা হিসেবে লোটো, ওয়ালমার্ট এবং জারাকে (ইন্ডিটেক্সের মালিকানাধীন) তালিকাভুক্ত করে।

 

গ্লোরি ইন্ডাস্ট্রিজ  লিমিটেড (বাংলাদেশ) ২০২১

পোশাক শিল্পে দীর্ঘস্থায়ীভাবে কম মজুরির প্রদানের ফলে বেশিরভাগ গার্মেন্টস শ্রমিকরা কোভিড-১৯ সংকটের প্রাক্কালে কোনো সঞ্চয় করতে পারেননি। যেহেতু পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলির বেশিরভাগ সরকারই অল্প বা কোন বেকারত্ব সুবিধাই প্রদান করে না, তাই একজন গার্মেন্টস বা পোশাক শিল্পের কর্মী যদি দীর্ঘদিন কাজ না করেন বা পান, তবে, তাঁর এবং তাঁর পরিবার যাতে  তাৎক্ষণিক দারিদ্র্যের মধ্যে নিমজ্জিত না হন, তা আটকানোর বা রোখার একমাত্র উপায় হল আইনত বাধ্যতামূলক বিচ্ছেদ সুবিধা যা বেশিরভাগ গার্মেন্টস শ্রমিক ইস্তফার পরে পেয়ে থাকেন।

ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়াম (ডব্লিউআরসি) এর গবেষণা থেকে জানা যায় যে মহামারী চলাকালীন বরখাস্ত করা অনেক গার্মেন্টস কর্মীকে এই প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণের কিছুটা বা পুরোটাই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে আইন এবং শ্রম অধিকারের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের মাধ্যমে,  এবং তা করেছে সেইসব ব্র্যান্ড যাদের পোশাক তাঁরা সেলাই করেন।

গ্লোরি ইন্ডাস্ট্রিজ হল ডব্লিউআরসি -এর রিপোর্ট, “ফায়ার্ড, দেন রব্ডঃ ফ্যাশন ব্র্যান্ডস’ কমপ্লিসিটি ইন ওয়েজ থেফ্ট ডিউরিং কোভিড-১৯,” এ চিহ্নিত ৩১টি রপ্তানি পোশাক কারখানার মধ্যে একটি, যা এখনও ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত শ্রমিকদের আইনত বাধ্যতামূলকভাবে ইস্তফার ক্ষতিপূরণ দেয়নি।  ২০২০ সালের জুনে, গ্লোরি ইন্ডাস্ট্রিজ বন্ধ হয়ে গেলে ৬০০ জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্তও, সেইসব শ্রমিকরা তাঁদের  $১৭৫,০০০ ক্ষতিপূরণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, যা তাঁদের আইনত পাওনা।

গ্লোরি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ছিল একটি সেলাই কেন্দ্র প্লট 7/A, ষোলশহর লাইট ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া, বায়েজিদ বোস্তামী, নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ-এ অবস্থিত  ছিল এবং এটি  সানম্যান গ্রুপের অংশ ছিল। ম্যাপড ইন বাংলাদেশের তালিকা অনুযায়ী  কার্টারস, জিমবোরি (দ্য চিলড্রেনস প্লেসের মালিকানাধীন), লি অ্যান্ড ফাং এবং ওশকোশ বি'গোশ (কার্টারের মালিকানাধীন)  এর ক্রেতাদের তালিকায় রয়েছে। ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) হল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণা উদ্যোগ, যা দেশের পোশাক খাতের স্বচ্ছতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। উদ্যোগটি ক্রেতা-সরবরাহকারী সম্পর্ক সনাক্ত করতে এবং প্রকাশ্যে রিপোর্ট করতে একাধিক উৎস (সরকারি ডেটা, অনসাইট ভিজিট, নিয়োগকর্তার সমীক্ষা ইত্যাদির মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা নিয়োগকর্তার রেকর্ড) থেকে তথ্য ব্যবহার করে।

 

ফাউন্টেন গারমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং (বাংলাদেশ) ২০২১

পোশাক শিল্পে দীর্ঘস্থায়ীভাবে কম মজুরির প্রদানের ফলে বেশিরভাগ গার্মেন্টস শ্রমিকরা কোভিড-১৯ সংকটের প্রাক্কালে কোনো সঞ্চয় করতে পারেননি। যেহেতু পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলির বেশিরভাগ সরকারই অল্প বা কোন বেকারত্ব সুবিধাই প্রদান করে না, তাই একজন গার্মেন্টস বা পোশাক শিল্পের কর্মী যদি দীর্ঘদিন কাজ না করেন বা পান, তবে, তাঁর এবং তাঁর পরিবার যাতে  তাৎক্ষণিক দারিদ্র্যের মধ্যে নিমজ্জিত না হন, তা আটকানোর বা রোখার একমাত্র উপায় হল আইনত বাধ্যতামূলক বিচ্ছেদ সুবিধা যা বেশিরভাগ গার্মেন্টস শ্রমিক ইস্তফার পরে পেয়ে থাকেন।

ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়াম (ডব্লিউআরসি) এর গবেষণা থেকে জানা যায় যে মহামারী চলাকালীন বরখাস্ত করা অনেক গার্মেন্টস কর্মীকে এই প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণের কিছুটা বা পুরোটাই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে আইন এবং শ্রম অধিকারের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের মাধ্যমে,  এবং তা করেছে সেইসব ব্র্যান্ড যাদের পোশাক তাঁরা সেলাই করেন।

ফাউন্টেন গারমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং হল ডব্লিউআরসি -এর রিপোর্ট, “ফায়ার্ড, দেন রব্ডঃ ফ্যাশন ব্র্যান্ডস’ কমপ্লিসিটি ইন ওয়েজ থেফ্ট ডিউরিং কোভিড-১৯,” এ চিহ্নিত ৩১টি রপ্তানি পোশাক কারখানার মধ্যে একটি, যা এখনও ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত শ্রমিকদের আইনত বাধ্যতামূলকভাবে ইস্তফার ক্ষতিপূরণ দেয়নি।  ২০২০ সালের জুনে, ফাউন্টেন গারমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং বন্ধ হয়ে গেলে ৭১৪ জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্তও, সেইসব শ্রমিকরা তাঁদের  $২১,৪২০ ক্ষতিপূরণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, যা তাঁদের আইনত পাওনা।

ফাউন্টেন গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড, ৬১-৬২, গাজীরছাট, ডিইপিজেড রোড, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা, বাংলাদেশ-এ অবস্থিত একটি সেলাই কেন্দ্র এবং রাবাব গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান, যা বাংলাদেশে আরও দুটি কারখানার মালিক। এইচ&এম  এই কারখানাটিকে তার নভেম্বর ২০২০ এবং ফেব্রুয়ারি ২০২১ এর তালিকায় সরবরাহকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। কন্টুর ব্র্যান্ডস এটিকে তার জুন ২০২০ এবং নভেম্বর ২০২০ এর তালিকায়  অন্তর্ভুক্ত করেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারির একটি চিঠিতে, এইচ&এম  ডব্লিউআরসি -কে বলেছিল যে অপসারিত কর্মীরা একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির অধীনে বকেয়া পারিশ্রমিক পেয়েছে। ডব্লিউআরসি এই চুক্তিটি পর্যালোচনা করেছে এবং খুঁজে পেয়েছে যে এটি শ্রমিকদেরই বাধ্যতামূলকভাবে ইস্তফার ক্ষতিপূরণ সুবিধাগুলির শুধুমাত্র একটি অংশের জন্য প্রদান করা হয়েছে যা তাদের আইনত পাওনা।

 

ড্রাগন সোয়েটার লিমিটেড (বাংলাদেশ) ২০২১

ড্রাগন সোয়েটার লিমিটেড, লিডল, নিউ ইয়র্কার এবং উলওয়ার্থস-এর  একটি সরবরাহকারী, এবং ২০২০ সালের মার্চ মাসে কমপক্ষে ৫০০ জন কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে—যা তাদের প্রায় পুরো  কর্মীসংখ্যার অর্ধেক—এবং তাদের বিচ্ছেদের আনুমানিক $১৩৩,২০০ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সব মিলিয়ে, শ্রমিকরা তাদের আইনত যা পাওনা ছিল তার মাত্র এক পঞ্চমাংশ পেয়েছে।

বন্ধ হওয়ার পর থেকে, কারখানার মালিক ড্রাগন গ্রুপ ক্রমাগত শ্রমিকদের ঋণ পরিশোধ করতে অস্বীকার করেছে, যদিও এটা স্পষ্ট যে কোম্পানির ঋণ পরিশোধ করার আর্থিক ক্ষমতা আছে। ড্রাগন গ্রুপ, যা আরোও দুটি অতিরিক্ত পোশাক কারখানার মালিক, সেইসাথে একটি জীবন বীমা কোম্পানি এবং একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার মালিক, যা, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকাশ্যে লেনদেন করে এবং এতে ১২,০০০ জন কর্মী নিযুক্ত রয়েছে। ২০২০ সালের আগস্টে, ড্রাগন সোয়েটারের ম্যানেজিং ডাইরেক্টার বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা সোবহান রুবেল গর্ব করে বলেছিলেন, "আমার কারখানাগুলি সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বুক করা হয়েছে এবং আমার গ্রাহকরাও অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত আমার কারখানার যে ধারণক্ষমতা তার  ৬০ শতাংশ বুক করেছেন।"

শ্রমিকরা ড্রাগন গ্রুপকে তার শ্রমিকদের প্রতি যে আইনি বাধ্যবাধকতা আছে, তা পূরণের জন্য অসংখ্য বার বিক্ষোভ দেখিয়ে চাপ দিয়েছে। অক্টোবর ২০২০ সালে, ড্রাগন গ্রুপ এর প্রাক্তন কর্মচারীদের আইনত তাদের পাওনা অর্থ সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টার যখন একটি  শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে নিযুক্ত  ছিলেন তখন তার উত্তরে ড্রাগন গ্রুপ একটি গুন্ডা দল পাঠায় তাদের উপর আক্রমণ করার জন্য। স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, হামলায় ১২ জন শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।

সেপ্টেম্বর ২০২০ তে ড্রাগন সোয়েটারের একটি আর্থিক বিবৃতিতে ৩১শে মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত প্রাপ্ত ফ্যাক্টরির বর্তমান অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে জার্মান খুচরা বিক্রেতা লিডল থেকে বকেয়া পেমেন্ট তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যা ইঙ্গিত করে যে কারখানাটি ২০২০ সালের প্রথম দিকে খুচরা বিক্রেতার জন্য পণ্য তৈরি করছিল। লিডল দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে, এবং দাবি করে যে যা বকেয়া প্রাপ্তি ছিল ড্রাগন সোয়েটারের, তা ২০১৯ সালেই মিটে গেছে। অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি উলওয়ার্থস এবং জার্মান ব্র্যান্ড নিউ ইয়র্কার-কেও ড্রাগন সোয়েটারের আর্থিক বিবৃতিতে ক্রেতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শেষের কোম্পানিটি, কারখানার সাথে তার সম্পর্কের বিষয়ে যোগাযোগের প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থ হয়েছে।

এই ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে কোনটিই (বা অন্য কোন ক্রেতা যা আজ অবধি, অজ্ঞাত হতে পারে) তাদের শ্রমিকদের যারা এইসব কোম্পানি গুলির পোশাক সেলাই করেন, তাদের বিচ্ছেদ সুবিধা বা বেতন যা তাদের প্রাপ্য সেটা তারা যাতে পান, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসেনি। ফলস্বরূপ, শ্রমিকরা তাদের বরখাস্তের সময় আইনত পাওনা বেশিরভাগ ক্ষতিপূরণ না পেয়ে পুরো একবছর কাটিয়ে দিয়েছেন।

 

দিগন্ত সোয়েটারস  লিমিটেড ( বাংলাদেশ) ২০২১

পোশাক শিল্পে দীর্ঘস্থায়ীভাবে কম মজুরির প্রদানের ফলে বেশিরভাগ গার্মেন্টস শ্রমিকরা কোভিড-১৯ সংকটের প্রাক্কালে কোনো সঞ্চয় করতে পারেননি। যেহেতু পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলির বেশিরভাগ সরকারই অল্প বা কোন বেকারত্ব সুবিধাই প্রদান করে না, তাই একজন গার্মেন্টস বা পোশাক শিল্পের কর্মী যদি দীর্ঘদিন কাজ না করেন বা পান, তবে, তাঁর এবং তাঁর পরিবার যাতে  তাৎক্ষণিক দারিদ্র্যের মধ্যে নিমজ্জিত না হন, তা আটকানোর বা রোখার একমাত্র উপায় হল আইনত বাধ্যতামূলক বিচ্ছেদ সুবিধা যা বেশিরভাগ গার্মেন্টস শ্রমিক ইস্তফার পরে পেয়ে থাকেন।

ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়াম (ডব্লিউআরসি) এর গবেষণা থেকে জানা যায় যে মহামারী চলাকালীন বরখাস্ত করা অনেক গার্মেন্টস কর্মীকে এই প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণের কিছুটা বা পুরোটাই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে আইন এবং শ্রম অধিকারের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের মাধ্যমে,  এবং তা করেছে সেইসব ব্র্যান্ড যাদের পোশাক তাঁরা সেলাই করেন।

দিগন্ত সোয়েটারস  হল ডব্লিউআরসি -এর রিপোর্ট, “ফায়ার্ড, দেন রব্ডঃ ফ্যাশন ব্র্যান্ডস’ কমপ্লিসিটি ইন ওয়েজ থেফ্ট ডিউরিং কোভিড-১৯,” এ চিহ্নিত ৩১টি রপ্তানি পোশাক কারখানার মধ্যে একটি, যা এখনও ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত শ্রমিকদের আইনত বাধ্যতামূলকভাবে ইস্তফার ক্ষতিপূরণ দেয়নি।  ২০২০ সালের জুনে, ফাউন্টেন গারমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং বন্ধ হয়ে গেলে ১,০৮৪ জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্তও, সেইসব শ্রমিকরা তাঁদের  $১৩০,০৮০ ক্ষতিপূরণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, যা তাঁদের আইনত পাওনা।

দিগন্ত সোয়েটারস, একটি সেলাই কেন্দ্র, যা, নওজুর, টাঙ্গাইল রোড, চান্দনা চৌরাস্তা, গাজীপুর, বাংলাদেশ-এ অবস্থিত। এইচ&এম   এই কারখানাটিকে তার নভেম্বর ২০২০ এবং ফেব্রুয়ারি ২০২১ সরবরাহকারী তালিকায় তালিকাভুক্ত করেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারির একটি চিঠিতে, এইচ&এম  ডব্লিউআরসি  -কে বলেছিল যে ধর্মঘট এবং কারখানার অস্থায়ী বন্ধের পরে, বরখাস্ত শ্রমিকরা একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির অধীনে বকেয়া পারিশ্রমিক পেয়েছে। ডব্লিউআরসি এই চুক্তিটি পর্যালোচনা করেছে এবং খুঁজে পেয়েছে যে এটি শ্রমিকদেরই বাধ্যতামূলকভাবে ইস্তফার ক্ষতিপূরণ সুবিধাগুলির শুধুমাত্র একটি অংশের জন্য প্রদান করা হয়েছে যা তাদের আইনত পাওনা।

 

-ওয়ান বিডি লিমিটেড  (বাংলাদেশ) ২০২১

এ-ওয়ান বিডি লিমিটেড, ঢাকা এক্সপোর্ট প্রোসেসিং জোনে অবস্থিত বেনেটন এবং নেক্সট-এর একটি ইতালীয় মালিকানাধীন সরবরাহকারী কোম্পানী, যা এপ্রিল ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যায় এবং যার ফলস্বরূপ ১৪০০ জন কর্মী কর্মচ্যুত হন। ২০২০ সালের প্রথম তিন মাস কারখানাটি শ্রমিকদের মজুরি দেয়নি। প্রতিবাদ করার পর তারা তিন মাসের মধ্যে মাত্র দুই মাসের বেতন পান। এছাড়া এ-ওয়ান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কারখানাটি শ্রমিকদের বাধ্যতামূলকভাবে ইস্তফার কোনো বেতন দেয়নি। আজ এখনও পর্য্যন্ত, শ্রমিকরা,  মোট আনুমানিক $৫৮৫,২০০ বকেয়া পারিশ্রমিকের জন্য অপেক্ষা করছে।

2020 সালের ডিসেম্বরে বেশ কিছু দিন ও রাত জুড়ে, ৭০০ টিরও বেশি প্রাক্তন এ-ওয়ান শ্রমিকরা তাদের দুর্দশার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং অর্থপ্রদানের দাবিতে ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে একটি অহিংস শিবির চালাচ্ছিলেন।  যেমনটি দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে সাধারণ ব্যাপার, কিন্তু কর্তৃপক্ষ,যারা মালিকের আইন লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি করতে ব্যর্থ হয়েছে,তারা শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের জবাবে তাদের আক্রমণ করার জন্য পুলিশ পাঠিয়েছে। আশরাফ আলী নামের এক শ্রমিক গার্ডিয়ানের কাছে ভোর সাড়ে ৪টায় পুলিশ আসার পর কী ঘটেছিল তার বর্ণনা দিয়েছেন: “[একটি] পুলিশ একটি জলকামান ট্রাক নিয়ে আসে এবং আমাদের ঘুমন্ত অবস্থায় লাঠিচার্জ করে। আমরা হঠাৎ কিভাবে এটা ঘটছে তা দেখে হতবাক হয়ে গেলাম। পুলিশ মারধর করেছে প্রায় ৩০ জন শ্রমিককে। এটা অন্যায় ছিল, আমরা এটা আশা করি নি।"

এ-ওয়ান, নেক্সট জানুয়ারী ২০২০ এর পাবলিক সাপ্লায়ার তালিকায় সরবরাহকারী হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কিন্তু  এই  খুচরা বিক্রেতা (নেক্সট),  এই কারখানায় শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার দায়িত্ব স্বীকার করতে অস্বীকার করে, বরং  দাবি করে যে কারখানার চূড়ান্তভাবেবন্ধ হওয়ার পাঁচ মাস আগেই এর শেষ অর্ডারটি সম্পন্ন হয়েছিল। বেনেটন বলেছেন যে এর শেষ ডেলিভারি ছিল ডিসেম্বর ২০১৯-এ;  তবে, বেনেটনের ওয়েবসাইটে এখনও পর্যন্ত্য, বন্ধ হওয়ার পরেও সরবরাহকারী হিসেবে এ-ওয়ান তালিকাভুক্ত ছিল। কারখানার মজুরি চুরি তার দরজা বন্ধ করার কয়েক মাস আগে শুরু হয়েছিল, এই প্রেক্ষিতে যে বেনেটন এবং নেক্সট উভয়ই কারখানাটিকে তার শেষ মাসগুলিতে ব্যবহার করছিলেন, এবং উভয়ই কারখানাটিকে ২০২০ সালে সরবরাহকারী হিসাবে তালিকাভুক্ত করার দরুন , ব্র্যান্ডগুলির দায়িত্ব অস্বীকার করার এই প্রয়াস একেবারেই ফাঁপা।

 

ইউনি গিয়ারস লিমিটেড (বাংলাদেশ) ২০২১

বাংলাদেশের গাজীপুরে ইউনি গিয়ারস লিমিটেড, আউটারস্টাফের একটি সরবরাহকারী, যেখানে ১০০০ জনেরও বেশি শ্রমিক কর্মরত, ২০২০এর মে মাস থেকে কর্মী সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য হ্রাস হওয়া শুরু হয়।। শ্রমিকরা ডব্লিউ-কে সাক্ষ্য দিয়েছে যে তারা হিংসার হুমকিতে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে; বাংলাদেশে, পদত্যাগকারী শ্রমিকরা  বরখাস্ত শ্রমিকদের তুলনায় যথেষ্ট কম টার্মিনাল ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী।

প্রমাণে দেখা যায় যে ইউনি গিয়ারস  এই জোরপূর্বক পদত্যাগগুলিকে তার ইস্তফার বাধ্যবাধকতাগুলি হ্রাস করার চেষ্টার উপায় হিসাবে ব্যবহার করেছিল৷

২০২১ সালের বসন্তে, আউটারস্টাফের (এবং, ফ্যাক্টরি পরিচালনাক দের সাথে ব্র্যান্ডের মাধ্যমে,)সাথে ডব্লিউ আর সি -এর বহু  মাস কথোপোকথনে জড়িত থাকার ফলে, ইউনি গিয়ার্স পুরোআইনি বিচ্ছেদ বা লিগাল সিভিয়ারেন্স এবং নোটিশ পে প্রদান করে-যা চার মাসের মজুরির সমান এবং চাকরির প্রতি বছরের জন্য অতিরিক্ত এক মাসের মজুরি প্রদান করে—সেইসব  কর্মীদের যাদের ডব্লিউ আর সি-এর তদন্তে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং যাদের বিচ্ছেদ সুবিধা না দিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে।

 

টেক্সপোর্ট ক্রিয়েশন (ভারত) ২০২১

পোশাক শিল্পে ক্রমাগতভাবে  কম মজুরি দেওয়ায় বেশিরভাগ গার্মেন্টস শ্রমিকদের কোভিড-১৯ সংকটের প্রাক্কালে কোনো সঞ্চয় ছিল না।  যেহেতু পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলিতে বেশিরভাগ সরকার কোন বেকারত্বের সুবিধা প্রদান করে না বা খুবই সামান্য সুবিধা প্রদান করে, তাই একজন কাজের বাইরে থাকা গার্মেন্টস শ্রমিক এবং তার পরিবারের জন্য তাৎক্ষণিক দারিদ্র্যের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় হল  আইনত বাধ্যতামূলক বিচ্ছেদ সুবিধা যা বেশিরভাগ গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবসানের পরে প্রাপ্য।

ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়াম (ডবলু আর সি) এর গবেষণা থেকে জানা যায় যে মহামারী চলাকালীন বরখাস্ত করা অনেক গার্মেন্টস শ্রমিকদের এই প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণের অল্প বা পুরোটাই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, এবং ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতারা যাদের পোশাক তারা সেলাই করেছিল তারা শ্রম অধিকারের দায়  এবং আইন লঙ্ঘন করে।  টেক্সপোর্ট ক্রিয়েশন হল ডবলু আর সি-এর বিবরণ ফায়ার্ড, দেন রবডঃ ফ্যাশন ব্র্যান্ড’স কমপ্লিসিটি ইন ওয়েজ থেফ্‌ট ডিউরিং কোভিড -১৯  – এ চিহ্নিত ৩১ টি রপ্তানি পোশাক কারখানার মধ্যে অন্যতম, যা শ্রমিকদের আইনত বাধ্যতামূলকভাবে বহিষ্কার ক্ষতিপূরণ যা ২০২১  সালের এপ্রিল পর্যন্ত দিতে বাধ্য এখনও পরিশোধিত করেনি। ২০২০ সালের মে মাসে, টেক্সপোর্ট ক্রিয়েশন বন্ধ হয়ে গেলে ৭৫০ জন শ্রমিককে বরখাস্ত করে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত, সেইসব শ্রমিকরা বৈধভাবে পাওনা ক্ষতিপূরণ $২১৬৩৩৪ এর অপেক্ষায় ছিল।টেক্সপোর্ট ক্রিয়েশন ছিল একটি সেলাই এর সংস্থা যা ২৬/১, A২, ২৬/১, B২,  টি এম (T.M)ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট, কেনচেনাহাল্লি, আর আর নগর, মহীশূর রোড, ব্যাঙ্গালোর, ভারতে অবস্থিত। গ্যাপ (Gap) ২০২১ সালের জানুয়ারির একটি চিঠিতে ডবলু আর সি -কে বলেছিল যে প্রতিটি শ্রমিকের জন্য বিচ্ছেদ গণনা বিবৃতি (severance calculation statements ) এবং তাদের স্বাক্ষরিত নথিগুলি যাচাই করেছে যেখানে লেখা আছে যে সবাইকে বিচ্ছেদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে এবং গ্যাপ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে সমস্ত টার্মিনাল (বিচ্ছেদ)  ক্ষতিপূরণ সঠিকভাবে প্রদান করা হয়েছে। প্রমাণে  দেখায যায় যে শ্রমিকরা অন্যান্য টার্মিনাল (বিচ্ছেদ) ক্ষতিপূরণ পেয়েছিল কিন্তু সেভারান্স প্রদান করা হয়নি।

 

গার্ডেন সিটি ফ্যাশনস (ভারত) ২০২১

পোশাক শিল্পের দীর্ঘস্থায়ীভাবে কম মজুরি বেশিরভাগ গার্মেন্টস কর্মীদের কোভিড-১৯ সংকটের প্রাক্কালে কোনো সঞ্চয় করেনি। যেহেতু পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলির বেশিরভাগ সরকার অল্প বা কোন বেকারত্বের সুবিধা প্রদান করে, তাই একজন কাজের বাইরে থাকা গার্মেন্টস কর্মী এবং তার পরিবারের জন্য তাৎক্ষণিক দারিদ্র্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা একমাত্র জিনিসটি হল আইনত বাধ্যতামূলক বিচ্ছেদ সুবিধা যা বেশিরভাগ গার্মেন্টস কর্মী অবসানের পরে প্রাপ্য।

ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়াম (ডবলু আর সি) এর গবেষণা থেকে জানা যায় যে মহামারী চলাকালীন বরখাস্ত করা অনেক গার্মেন্টস শ্রমিকদের এই প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণের অল্প বা পুরোটাই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, এবং ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতারা যাদের পোশাক তারা সেলাই করেছিল তারা শ্রম অধিকারের দায়  এবং আইন লঙ্ঘন করে।

গার্ডেন সিটি ফ্যাশনস হল ডবলু আর সি-এর বিবরণ ফায়ার্ড, দেন রবডঃ ফ্যাশন ব্র্যান্ড’স কমপ্লিসিটি ইন ওয়েজ থেফ্‌ট ডিউরিং কোভিড -১৯  – এ চিহ্নিত ৩১ টি রপ্তানি পোশাক কারখানার মধ্যে অন্যতম, যা শ্রমিকদের আইনত বাধ্যতামূলকভাবে বহিষ্কার ক্ষতিপূরণ যা ২০২১  সালের এপ্রিল পর্যন্ত দিতে বাধ্য এখনও পরিশোধিত করেনি। ২০২০ সালের মে মাসে, গার্ডেন সিটি ফ্যাশনস বন্ধ হয়ে গেলে ৪৫০০ জন শ্রমিককে বরখাস্ত করে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত, সেইসব শ্রমিকরা বৈধভাবে পাওনা ক্ষতিপূরণ $৭৭৮৮০৩ এর অপেক্ষায় ছিল।

গার্ডেন সিটি ফ্যাশনস ছিল একটি সেলাই এর সংস্থা যা #৮৪, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাবার্ব, ইয়েশবন্থপুর, বেঙ্গালোর, ভারতে অবস্থিত। দ্য গারমেন্ট এন্ড টেক্সটাইল ওয়ার্কার্স ইউনিওন (GATWA) ডবলু আর সি কে জানিয়েছিল যে এখানকার শ্রমিকরা সি&এ (C&A) এবং যে সি পেনী (JCPenney) এর জন্য সেলাই করতেন।  সি&এ (C&A)-এর এপ্রিল ২০২০ ডিস্ক্লোসারে জানা যায় যে গার্ডেন সিটি ফ্যাশনস ইউনিট II, III, IV, এবং V  সি&এ -এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। আমদানি রেকর্ডগুলিতে  এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত গেস-এর (GUESS) জন্য চালান দেখায়। গার্ডেন সিটি ফ্যাশনস এর ওয়েবসাইটে, দেখা যায় যে এর মূল অংশীদাররা হল সি&এ (C&A), গেস (GUESS), ডেবেনহাম্‌স (Debenhams), সেসিল (Cecil), নেক্সট (Next) , ফরেভার ২১ (Forever 21), এস্পিরিট (Esprit), মুফতি (Mufti), এবং ডুন্স স্টোরস (Dunnes Stores)।

 

ড্রেস মাস্টার অ্যাপারেল প্রাইভেট লি. (ভারত) ২০২১

ড্রেস মাস্টার অ্যাপারেল প্রাইভেট লিমিটেড, ভারতের বেঙ্গালুরুতে গ্যাপ-এর ( GAP) সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করত,২০২০ সালের মে মাসে এটি বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে ১২০০ জন শ্রমিকদের কাজ চলে যায়। কিন্তু ড্রেস মাস্টার অ্যাপারেল প্রাইভেট লি. শ্রমিকদের  $৩৪৬১৩৪ বকেয়া পাওনা মেটায় না যা তাদের আইনত  প্রাপ্য ছিল। ড্রেস মাস্টার ভারতীয় কোম্পানি রেমন্ড লিমিটেডের অংশ ছিল, যা তিনটি ব্র্যান্ডের মালিক এবং পাঁচটি অন্যান্য সহায়ক সংস্থা পরিচালনা করে।কারখানায় কম অর্ডার আসার ফলে ম্যানেজমেন্ট শ্রমিকদের উৎসাহিত করছিল যাতে তারা পদত্যাগ করে যাতে কর্মসংস্থান হ্রাস পায়। সরকার-নির্দেশিত লকডাউনের কারণে, ফ্যাক্টরিটি ২০২০ সালের মার্চ এবং এপ্রিল মাসে বেশ কয়েক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ছিল, ফেস মাস্ক তৈরির সুবিধায় শুধুমাত্র অল্প সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। যখন ১৭ মে কারখানাটি পুনরায় চালু হয়, তখন এটি কেবল অর্ধেক  শ্রমিককে ফিরিয়ে আনে। তারপরে, জুন মাসে, শ্রমিকদের বলা হয়েছিল যে অর্ডারের অভাবে কারখানাটি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে এবং কারখানাটি পুনরায় চালু হলে তাদের পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হবে। নয় মাস পরেও যখন ড্রেস মাস্টার বন্ধ থাকে তখন যদিও এটি কর্মীদের কিছু পাওনা সুবিধা প্রদান করে (একটি বার্ষিক বোনাস এবং অর্জিত ছুটির বেতন), কিন্তু  বিচ্ছেদ (সেভারেন্স) পরিশোধ করেনি।

গ্যাপের (GAP) দাবি, ড্রেস মাস্টার শ্রমিকদের পুরো টাকা দিয়েছিল। যাইহোক, শ্রমিক প্রতিনিধিরা বারবার রিপোর্ট করতে থাকেন যে শ্রমিকরা বিচ্ছেদের এক টাকাও পায়নি এবং ডবলু আর সি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে ড্রেস মাস্টারের মালিকদের দ্বারা গ্যাপকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে।

 

এল & ওয়াই এম্ব্রয়ডারী ( বাংলাদেশ) ২০২০

ডব্লিউ আর সি -এর তদন্তে দেখা গেছে যে এল&ওয়াই, কলেজ লোগো ক্যাপ ফ্যাক্টরির হান অ্যাপারেল (হান) এর  একটি সাব-কন্ট্রাক্টর, তাদের আইনত প্রয়োজনীয় নোটিশ এবং বিচ্ছেদ সুবিধা প্রদান না করে কমপক্ষে সাতজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করে, বাংলাদেশী শ্রম আইন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। কলেজিয়েট পণ্যের জন্য হ্যানের ক্রেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইসেন্সধারী যেফায়র হেডওয়্যার (যেফায়র ) এর সাথে ডব্লিউ আর সি -এর কথোপোকথনের পরে, সাতজন শ্রমিক কে গড়ে $৮১৭.৩৮ রাশি প্রদান করা হয়েছিল, যা এই ক্ষতিপূরণ  পাওয়া শ্রমিকদের প্রত্যেকের নয় মাসের বেতনের সমান।

প্রতিবেদনে বিশদভাবে দেওয়া আছে যে, এইরূপ ঘটনা  তৃতীয়বার হল যে হ্যান, যেফায়র-এর কলেজিয়েট পোশাক উৎপাদনের জন্য, অন্য কারখানার সাথে সাব-কন্ট্রাক্ট করেছিল, এবং তা লাইসেন্সধারীর কাছ থেকে সম্পূর্ণ  লুকিয়ে গেছিল যার ফলস্বরূপ যেফায়রও সাব-কন্ট্রাক্টেড ফ্যাক্টরিটি সম্পর্কে কোনকিছুই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। ইউনিভার্সিটি কোডের অধীনে হান পোশাকের বারবার যেফায়র প্রতি তার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের প্রতি নজর রেখে, ডব্লিউ আর সি  সুপারিশ করেছে, এবং যেফায়রও হান পোশাকের উপর অর্থনৈতিক জরিমানা আরোপ করতে রাজি হয়েছে। ডব্লিউ আর সি   আশাবাদী যে এটি এই সরবরাহকারীর দ্বারা এই ধরনের লঙ্ঘনকে  রোধ করবে।

 

অ্যাভেরি ডেনিসন (ভারত) ২০২০

শ্রমিকরা বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (GATWU) দ্বারা প্রতিনিধিত্ব চেয়েছিল বলে তাদের বিরূদ্ধে অ্যাভেরি ডেনিসন প্রতিশোধ নিয়েছিল, ডবলু আর সি এই ঘটনার তদন্ত করছিল। তাদের বিবরণে , ডবলু আর সি দেখতে পেয়েছে যে অ্যাভেরি ডেনিসন এই প্ল্যান্টে শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার অধিকার লঙ্ঘন করেছে:

  • ফ্যাক্টরির রিসোর্স ম্যানেজার (মানবসম্পদ ব্যবস্থাপকের) দ্বারা কারখানার একটি দায়িত্বশীল ইউনিয়নের নেতাকে অনুপযুক্ত অর্থ প্রদান এবং GATWU-এর প্রতিনিধিত্ব চাওয়ার জন্য শ্রমিকদের প্রচেষ্টার বিরোধিতা করার জন্য সেই ইউনিয়নের নেতাদের তালিকাভুক্ত করা;·
  • ক্ষমতাসীন ইউনিয়নের সমর্থকদের শারীরিকভাবে আক্রমণ এবং GATWU সমর্থনকারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ফৌজদারি বিচার, এবং আবাসন থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া; এবং
  • শ্রমিকদের অহিংস সংগঠিত কার্যকালাপের উপর ভয় দেখানোর জন্য জোরদার নজরদারি চালানো।

ডব্লিউআরসি এই রিপোর্টের ফলাফলগুলিকে অ্যাভেরি ডেনিসন, কলম্বিয়া (একজন কলেজিয়েট লাইসেন্সধারী) এবং অন্যান্য ব্র্যান্ডের সাথে শেয়ার করেছে যাদের এই কারখানা সরবরাহ করে। পরবর্তীকালে, অ্যাভেরি ডেনিসন ডবলু আর সি-এর সাথে যোগাযোগ করেন এবং সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিতে সম্মত হন। অ্যাভেরি ডেনিসনও GATWU এবং বর্তমান ইউনিয়ন, উভয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ কমিটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং দরকষাকষি করেছে এবং শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের জন্য মজুরি এবং সুবিধার উল্লেখযোগ্য উন্নতির সাথে একটি নতুন যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

 

পশমি সোয়েটার্স লিমিটেড। (বাংলাদেশ) ২০২০

ডব্লিউ আর সি,  আকোটা গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন (এজিডব্লিএফ) থেকে প্রাপ্ত একটি অভিযোগের জবাবে তদন্ত শুরু করেছে, যা সাতজন পোসমি শ্রমিকের তরফ থেকে আনা হয়েছে, যে  তাদের প্রতিশোধমূলক এবং বেআইনিভাবে বরখাস্ত করার অভিযোগ এনেছে। সাতজন শ্রমিককে বরখাস্ত করার তদন্ত করার সময়, ডব্লিউ আর সি  বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড-এর এবং বাংলাদেশী আইনের অনেকগুলি লঙ্ঘন খুঁজে পেয়েছে, যার মধ্যে গুরুতর মজুরি এবং শ্রমসময়ের লঙ্ঘন রয়েছে যা কারখানার "জ্যাকোয়ার্ড" বিভাগে নিযুক্ত শ্রমিকদের প্রভাবিত করে, যেখানে সাতজন অভিযোগকারী শ্রমিককে নিযুক্ত করা হয়েছিল।

ডব্লিউআরসি-এর অনুসন্ধানের বিষয়ে পসমির সাথে ব্যাপক বোঝাপড়ার পর, কোম্পানি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে, যা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধির লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশী আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির লঙ্ঘন যা ডব্লিউআরসি তদন্তের সময় নির্দিষ্ট করেছে তা সম্পূর্ণরূপে প্রতিকার করবে।

 

প্যানোরামা অ্যাপারেলস (বাংলাদেশ) ২০১৯

ফেব্রুয়ারী ২০১৬-তে, প্যানোরামা অ্যাপারেলস ("প্যানোরামা") বেআইনিভাবে শ্রমিকদের বরখাস্ত করে যারা একটি প্রস্তাবিত ইউনিয়নের কর্মকর্তা ছিলেন এবং শ্রমিক নেতারা যাতে কারখানায় ফিরে না আসে তা নিশ্চিত করার জন্য একটি পরিশীলিত প্রচারে নিযুক্ত হয়,  এর সাথে সাথেই  শ্রমিকদের অ্যাসোসিয়েশন অধিকারও লঙ্ঘন করে। ডব্লিউ আর সি   তার তদন্ত শুরু করার সময়কালে, প্যানোরামাতে ১৫০০ জন শ্রমিক নিযুক্ত ছিল এবং তা অ্যান্টিগা গ্রুপের কলেজিয়েট পোশাকের সরবরাহকারী ছিল। এই বোঝাপড়ার পুরো সময় জুড়ে, প্যানোরামা অ্যাপারেলস এইচ&এম এবং একটি ব্রিটিশ খুচরা বিক্রেতা নেক্সটকে নন-কলেজিয়েট শার্ট সরবরাহ করেছে। এই কেসটি কলেজিয়েট পোশাক উৎপাদনকারী অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের শ্রমিকদের তাদের সহযোগী অধিকার প্রয়োগ করার সময় এবং সেইসাথে এই মামলাগুলি নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে শ্রম অধিকার নিরীক্ষকদের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হওয়ার মতো চ্যালেঞ্জগুলিকে তুলে ধরে। ডব্লিউ আর সি -এর রিপোর্টে যেমন আলোচনা করা হয়েছে, কার্যত প্রতিবারই শ্রমিকরা যখন তাদের আইনি অধিকার প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছে-প্রথমে তাদের কাজের অবস্থার উন্নতির জন্য এবং তারপর কারখানায় তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়ার পরে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য-তারা প্রচণ্ড বাধার সম্মুখীন হয়েছে। প্যানোরামার কর্মপক্রিয়া বর্ণনা করে কিভাবে শ্রম আইন লঙ্ঘন হয়,  বিশেষ করে সংগঠনের স্বাধীনতা, একটি মৌলিক কর্মক্ষেত্রের অধিকারের লঙ্ঘন যা  বাংলাদেশের শ্রম আইন, আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ড এবং ক্রেতার আচরণবিধির অধীনে সুরক্ষিত। ম্যানেজমেন্ট এর ক্রিয়াকলাপগুলি এতটাই জঘন্য ছিল যে, ডব্লিউ আর সি -এর হস্তক্ষেপকালীনই, একটি উচ্চ-পর্যায়ের আইএলও প্রতিনিধি দল প্যানোরামা মামলাটিকে বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘনের তীব্রতার উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরে।

ডব্লিউআরসি অনুসন্ধান এবং প্রচারএর প্রতিক্রিয়ায় মূল ক্রেতাদের সক্রিয় হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও, এই ক্ষেত্রে কারখানা পরিচালকদের দ্বারা শ্রমিকদের সামাজিক অধিকারের ক্ষতির প্রতিকার করা হয়নি। ছয় মাসের বোঝাপড়ার পর, প্যানোরামা ম্যানেজমেন্ট অভিযোগকারী শ্রমিকদের কর্মস্থল থেকে সরিয়ে দিতে সফল হয়েছে; ম্যানেজমেন্টের কয়েক মাস ভয় দেখানোর পর, প্রতিশোধ বেড়ে যাবে এই ভয়ে শ্রমিকরা আর প্ল্যান্টে ফিরে যেতে চায়নি। প্যানোরামা ম্যানেজমেন্টের ভয় দেখানোর প্রচারণা এতটাই কার্যকর ছিল যে, এই মামলার শেষের দিকে, শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টারা নিজেদের এবং তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের ভয়েই এমনকি কর্মক্ষেত্রের স্বাধীনতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেও রাজি ছিলেন না। এই কেসটি গার্মেন্টস শ্রমিকরা তাদের সহযোগী অধিকার প্রয়োগ করতে এবং তাদের কর্মক্ষেত্রে উন্নত অবস্থার জন্য চাপ দেওয়ার সময় যেভাবে বিভিন্ন বাধাগুলির সম্মুখীন হয় তার একটি উত্তম অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।

 

নূর গ্রুপ (বাংলাদেশ) ২০১৯

শাবানা, নূর গ্রুপের একজন সিনিয়র সেলাই অপারেটর, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৯-এ ফ্যাক্টরি ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক বরখাস্ত হওয়ার আগে পর্য্যন্ত তিন বছর ধরে কারখানায় কাজ করেছিলেন। শাবানা ডব্লিউ আর সি-এর কাছে বর্ণনা করেছিলেন যে কীভাবে নুর গ্রুপের কর্মীরা তাদের মাসিক পারিশ্রমিক পাওয়ার পরে ৬ জানুয়ারীতে একটি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল। শাবানার মতে, শ্রমিকরা নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়নে ব্যবস্থাপনার ত্রুটি চিহ্নিত করেছিলেন। ৭ জানুয়ারী,  ম্যানেজমেন্ট  তদন্ত করতে এবং শ্রমিকদের উদ্বেগের সমাধান করতে অস্বীকার করার পরে, শ্রমিকরা কম মজুরি এবং তাদের উদ্বেগ বিবেচনা করতে প্রশাসনের অস্বীকৃতির প্রতিবাদে সকাল ৯ টার দিকে কারখানা ত্যাগ করতে শুরু করে। নুর গ্রুপের শ্রমিকরা কারখানার সামনে সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ পাল্টা টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে। শাবানা অবশ্য জানাচ্ছেন যে তিনি তার লাইনের আরও কয়েকজন মহিলার সাথে কারখানায় ছিলেন। কারখানার ম্যানেজাররা কিভাবে কোন বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ার একটি পরিষ্কার চিত্র সরবরাহ করে। কারখানার ম্যানেজার কিভাবে শুধুমাত্র বিক্ষোভ দমন করতে  নির্বিচারে শ্রমিকদের বরখাস্ত করে তাদের নির্দিষ্ট মামলার সত্যতা বিবেচনা না করে, শাবানার কেসটি  তার প্রকৃত উদাহরন।

 

অবন্তি কালার টেক্স লিমিটেড (বাংলাদেশ) ২০১৯

বাংলাদেশ সেন্টার ফর সলিডারিটি স্টাডিজ এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশন (বিজিআইডব্লিউএফ) অনুসারে অবন্তি কারখানার ম্যানেজমেন্ট ব্যাপক শ্রমিক বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়া হিসেবে অন্তত ১২০০ জন শ্রমিককে বরখাস্ত করে। নীচে দেখানো, এই বহিষ্কার প্রক্রিয়া  কোনো নির্দিষ্ট কর্মীদের দ্বারা নির্দিষ্ট আচরণের প্রমাণের ভিত্তিতে ছিল না এবং জাতীয় আইন অনুসারেও পরিচালিত হয়নি। এমনকি আরও বেশি করে যেটা দেখার তা হল, একাধিক শ্রমিকদের মতে, বহিষ্কার প্রক্রিয়া চলাকালীন কারখানার চত্বরে, ম্যানেজমেন্ট দ্বারা ভাড়া করা গুণ্ডাদের দ্বারা শ্রমিকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। ডব্লিউ আর সি  ১৫ জন বরখাস্ত অবন্তি শ্রমিকদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং তাদের "শো কজ" চিঠিগুলি (বরখাস্তের অভিযোগের ভিত্তি নির্ধারণ করে এমন চিঠি) সহ নথি পর্যালোচনা করেছে।

 

মাহমুদ  ফ্যাশন ( বাংলাদেশ) ২০১৯

ডব্লিউআরসি দ্বারা সংগৃহীত ধারাবাহিক সাক্ষ্য ইঙ্গিত দেয় যে অপরাধমূলক অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে শ্রমিকদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।১১ জানুয়ারী, পুলিশ সাইবোল্ট টেক্সের দুই কর্মচারীর বাড়িতে আসে এবং তাদের বাড়ি থেকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যায়। সাইবোল্ট থেকে ছয় মাইলেরও বেশি দূরে অবস্থিত একটি পৃথক কারখানা মাহমুদ ফ্যাশনের একজন সিনিয়র এক্সিকিউটিভের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাহমুদ মামলার নথিতে কোনও কর্মচারীর নাম নেই, বা অভিযোগে এমন কোনও দাবি নেই যে কারখানার নিযুক্ত ব্যক্তিরা অভিযুক্ত ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না। অধিকন্তু, ডব্লিউআরসি দ্বারা সাক্ষাতকার নেওয়া সাইবোল্টের পাঁচজন কর্মচারী স্বাধীনভাবে যাচাই করেছেন যে কথিত ঘটনার দিন সবুজ এবং আতাউর সাইবোল্টে উপস্থিত ছিলেন এবং কর্মরত ছিলেন। লেখার সময়কালেও, , তাদের মামলাগুলি এখনও চলছে এবং তাঁরা  দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে, যদিও সবুজ এবং আতাউর বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

 

এআর জিন্স প্রোডিউসার লিমিটেড. (বাংলাদেশ) ২০১৯

১১ জানুয়ারী, নারায়ণগঞ্জে এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড (এআর) এর ফ্যাক্টরি ম্যানেজাররা একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করে অভিযোগ করে যে, ১০ জানুয়ারী, এআর কর্মীরা কারখানার কর্মীদের মারধর করে, একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে এবং প্রায় $৬,০০০ মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পত্তি ধ্বংস করে। ডব্লিউ আর সি সেই তারিখে এবং আশেপাশে কারখানায় বিক্ষোভের বিষয়ে ১৫ জন এআর  কর্মচারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এই শ্রমিকদের কাছ থেকে বিশ্বাসযোগ্য, পারস্পরিক সমর্থনকারী সাক্ষ্যের ভিত্তিতে, ডব্লিউ আর সি  এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে এই ধরনের কোনো হিংসা সেইদিন ঘটেনি। ফৌজদারি মামলা অভ্যন্তরীণ অসঙ্গতি দ্বারা বিকৃত হয়, ফাইলিংয়ে অভিযোগ করা হয়েছে যে এআর কর্মচারীরা অন্যায় কাজটি পরিচালনা করেছেন। তবে অভিযোগে যে ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত সাতজন কারখানায় কর্মরত নন।

১৩ জানুয়ারী, এআর জিন্স ২৫০ জনেরও বেশি শ্রমিকদের নাম এবং ফটো সহ একটি বড় ব্যানার লাগিয়েছিল যে তাদের কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরের দিনগুলিতে, কর্তৃপক্ষ কারখানার চারপাশে এই শ্রমিকদের নাম ও ছবি সম্বলিত বিলবোর্ডও লাগায়। এই ২৫০ জন শ্রমিক ছাড়াও, ম্যানেজমেন্ট  সপ্তাহ জুড়ে  অন্যান্য শ্রমিকদেরও বরখাস্ত করেছে (স্বাধীনভাবে কতজন তা যাচাই করতে পারেনি ডব্লিউ আর সি)। ডব্লিউ আর সি ধারাবাহিকভাবে কয়েক ডজন কারখানার শ্রমিকদের সাথে সাক্ষাৎকার করতে পেরেছে, এবং তাতে খুজে পেয়েছে যে  কারখানার ম্যানেজমেন্ট  বিশেষভাবে কোন  শ্রমিকদের চিহ্নিত করে, যারা বরখাস্ত নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রতিবাদে জড়িত থাকতে পারে,  তাদের উপর কোন প্রতিক্রিয়া দেয়নি। বরং তারা নির্বিচারে গণ বরখাস্ত করেছে । উপরন্তু, কারখানা বন্ধ করার জন্য আইনত প্রয়োজনীয় পদ্ধতিও বাস্তবায়ন করেনি।

 

শাইন এমব্রয়ডারি (বাংলাদেশ) ২০১৮

২০১৮ সালের মে মাসে, ন্যাশনাল গার্মেন্ট ওয়ার্কার ফেডারেশন (এনজিডব্লিউএফ) ডব্লিউ আর সি-এর কাছে একটি অভিযোগ দায়ের যে একজন শ্রমিক, যিনি পূর্বে শাইন দ্বারা নিযুক্ত ছিলেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে কারখানা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় ২৫ মে  ২০১২ তে, তাকে তার আইনত বকেয়া বিচ্ছেদ সুবিধা প্রদান করা হয়নি,  । ডব্লিউ আর সি তদন্ত করেছে এবং অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। জিয়াদুল নামে এই শ্রমিকের বকেয়ার পরিমাণ ছিল  ১৫৫৪ মার্কিন ডলার, যা নয় মাসের মজুরির সমান।২৩ মে, ২০১৮-তে, ডব্লিউ আর সি আমাদের অনুসন্ধানগুলি জানাতে হ্যান্সব্র্যান্ডস-এর সাথে যোগাযোগ করেছিল। হ্যান্সব্র্যান্ডস অবিলম্বে উত্তর দিয়েছে এবং সরাসরি সরবরাহকারীর সাথে যোগাযোগ করতে সম্মত হয়েছে। দুই সপ্তাহ পরে, ৭ জুন, হ্যান্সব্র্যান্ডস  ডব্লিউ আর সি কে জানায় যে শাইন, জিয়াদুলকে তার আইনত বাধ্যতামূলক বিচ্ছেদ সুবিধা প্রদান করবে।

 

শাহী এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড (ভারত) ২০১৮

ডবলু আর সি-এর তদন্তে দেখা গেছে, শাহী এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেডের  (শাহী)  ম্যানাজমেন্ট ইউনিট ৮ ফ্যাক্টরি (বেঙ্গালুরু, ভারত) শ্রমিকদের মৌলিক শ্রম অধিকারের অনুশীলনের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর দমন ও প্রতিশোধের প্রচার চালায়। কর্ণাটক গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (KOOGU) এর সাথে শ্রমিকদের সংগঠিত এবং আরও ভাল কাজের অবস্থার জন্য আবেদন করার প্রতিক্রিয়ার ফলস্বরূপ এই প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছিল। কারখানাটি কলম্বিয়া স্পোর্টসওয়্যারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো লাগানো পোশাক এবং বেনেটন (Benetton), এইচ&এম (H&M) এবং অ্যাবারক্রম্বি&ফিচের (Abercrombie&Fitch) পোশাক তৈরি করে।

শাহী ভারতের বৃহত্তম পোশাক প্রস্তুতকারক এবং আহুজা পরিবারের মালিকানাধীন। ২০১৮ সালের গোড়ার দিকে, কোম্পানিটি পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরিতে নির্ধারিত বৃদ্ধি বাতিল করার জন্য কর্ণাটক রাজ্যের সরকারের কাছে সফলভাবে লবিং করেছিল। ডবলু আর সি-এর কারখানার তদন্ত, এপ্রিলের শেষের দিকে এবং ২০১৮ সালের প্রথম দিকে সংগোঠিত হয়েছিল, ৩০ জনেরও বেশি শাহীতে কর্মরত

শ্রমিকের  সাক্ষাৎকারর নেওয়া হয়েছিল। ডবলু আর সি শাহীকে ভারতীয় আইন, আন্তর্জাতিক শ্রম মান, এবং বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্র্যান্ড আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে বলে মনে করেছে। এই লঙ্ঘনের মধ্যে শারিরীক মারধর, মৃত্যুর হুমকি, লিঙ্গ, বর্ণ, এবং ধর্ম-ভিত্তিক হয়রানি, এবং গণহত্যার হুমকি অন্তর্ভুক্ত ছিল; এবং তার সাথে সাথে কারখানা থেকেও বহিষ্কার করা হয় ১৫ জন শ্রমিক কর্মীকে।

ডবলু আর সি শাহী, কলম্বিয়া স্পোর্টসওয়্যার এবং অন্যান্য ব্র্যান্ডের সাথে নিজেদের তৈরি রিপোর্টের ফলাফলগুলি এবং সুপারিশগুলি ভাগ করেছে এবং বরখাস্ত নেতাদের পুনঃস্থাপন, সহিংসতার কাজে সরাসরি জড়িত পরিচালকদের বরখাস্ত করা এবং ইউনিয়নের অবিলম্বে স্বীকৃতি সহ পদক্ষেপের জন্য চাপ দিয়েছে। শাহী প্রাথমিকভাবে ইউনিট ৮ কর্মীদের পুনর্বহাল করতে সম্মত হয়েছিল, কিন্তু শ্রমিকরা যাতে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে কারখানায় নিরাপদে ফিরে যেতে সক্ষম হয় তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক পদক্ষেপ নিতে রাজি হননি। সংশোধনমূলক পদক্ষেপ তৈরি করতে শাহীর ব্যর্থতাকে প্রকাশ্যে আনার জন্য, ডবলু আর সি তাদের তদন্তকে জনসম্মুখে প্রকাশ করে, শাহী এবং ব্র্যান্ডগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট মিডিয়া কভারেজ যাতে পাওয়া যায় তাও নিশ্চিত করে, এবং তার সাথে সাথেই কলেজিয়েট লাইসেন্সধারী, কলম্বিয়া -কে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়-এর চাপ নিশ্চিত করা হয়।

ডবলু আর সি -এর প্রতিবেদন প্রকাশের চাপে পরে, শাহী ২৫ জুন শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে দেখা করে এবং একটি সমঝোতা স্মারক (MOU) স্বাক্ষর করে, যার মূল উপাদানগুলি জুনের শেষে সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়। যে ১৫ জন শ্রমিককে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছিল, প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং শাহী ইউনিট ৮ কারখানা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, তারা কোনো ঘটনা বা হয়রানি ছাড়াই কারখানায় পুনরায় বহাল হয়েছিল এবং তাদের বকেয়া মজুরি পেয়েছিল। ডবলু আর সি এবং ক্রেতাদের প্রতিনিধিদের দ্বারা কারখানার ভিতরে শ্রমিকদের প্রত্যাবর্তন পরিলক্ষিত হয়। শাহীও ইউনিয়নকে স্বীকৃতি দিয়েছে, নিয়মিত আলোচনায় সম্মত হয়েছে এবং সহিংসতার জন্য দায়ী বেশিরভাগ ম্যানেজার এবং সুপারভাইজারদের বরখাস্ত করতে আরম্ভ করেছে।

 

কেটি এমব্রয়ডারি (বাংলাদেশ) ২০১৮

২০১৮ সালের মে মাসে, ডব্লিউ আর সি, কেটি এমব্রয়ডারি থেকে শ্রমিকদের অবৈধভাবে বরখাস্ত করার রিপোর্টের তদন্ত শুরু করে, যা জেফির গ্রাফ-এক্সের জন্য, সাবকন্ট্রাক্টের ভিত্তিতে ইউনিভার্সিটির লোগো ক্যাপগুলিকে অলঙ্কৃত করেছিল।

মামলাটি জড়িত:• এক ডজনেরও বেশি শ্রমিকের অবৈধ বরখাস্ত যারা কারখানার শ্রম অনুশীলনে উন্নতি চেয়েছিল; এবং,• সমগ্র শ্রমিকদের উপর একটি নির্লজ্জভাবে বেআইনি নিয়ম আরোপ করা, যাতে শ্রমিকরা অব্যাহত কর্মসংস্থানের শর্ত হিসাবে আরও শ্রম অধিকার প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকে।দুর্ভাগ্যবশত, ডব্লিউ আর সি,  যখন শ্রমিকদের প্রতি করা এই অপব্যবহার প্রকাশ করেছিল, তখন জেফির-এর সরাসরি সরবরাহকারী, হান অ্যাপারেলস, কেটি এমব্রয়ডারির ​​সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বন্ধ করে দিয়েছিল এবং এই কারনে সম্পূর্ণ প্রতিকারের জন্য পর্যাপ্ত সুবিধার অভাব ছিল, যার অর্থ  হল বরখাস্ত শ্রমিকদের পুনর্বহাল করা এবং শ্রমিকদের সামাজিক অধিকারের অনুশীলনের উপর অবৈধ নিষেধাজ্ঞা  উত্তোলন করা।

এই পরিস্থিতিতে, সর্বোচ্চ যা করা যেতে পারে, তা হল বরখাস্ত শ্রমিকদের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ অর্জন।এই প্রতিকারই ডব্লিউ আর সি শেষ পর্যন্ত প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছিল, জেফির সহায়তায়। শ্রমিকরা গড়ে ১৫ মাসের বেতন পেয়েছে -  এটি একটি বিশাল পরিমাণ, যাকে শ্রমিক এবং তাদের পরিবার আন্তরিকভাবে মেনে নেন।  এই মামলাটি লাইসেন্সধারীদের দ্বারা সজাগ সরবরাহ চেইন ব্যবস্থাপনার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। কেটি এমব্রয়ডারি, হান অ্যাপারেলসের একটি সাব-কন্ট্রাক্টর ছিল, কিন্তু হ্যান অ্যাপারেলস জেফিরের সাথে সম্পর্ক প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছিল- তাই এটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রকাশ করেনি। ডব্লিউ আর সি কারখানাটিকে একটি কলেজিয়েট সরবরাহকারী হিসাবে চিহ্নিত করে এবং জেফির কে জানায়। দুই বছরের মধ্যে এটা দ্বিতীয়বার যে হ্যান অ্যাপারেলস একটি অননুমোদিত সাব-কন্ট্রাক্টর ব্যবহার করেছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রম মান লঙ্ঘনকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। কোন ক্ষেত্রেই জেফির অননুমোদিত উপ-কন্ট্রাক্টিংকে চিহ্নিত করেনি। আরও বলা যেতে পারে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা এবং শ্রমের মানগুলির আরও লঙ্ঘন থেকে হ্যান অ্যাপারেলসকে প্রতিরোধ করা - বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোডগুলিকে সম্মান করতে ইচ্ছুক একজন সরবরাহকারীর সাথে হ্যান অ্যাপারেলস -এর পরিবর্তে এটি জেফিরের দায়িত্ব৷যদিও আমরা দুঃখিত যে এই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ প্রতিকার করা সম্ভব হয়নি, জেফির ডব্লিউ আর সি -এর অনুরোধ করা পদক্ষেপগুলি নিয়েছিল, এবং আমরা খুশি যে কর্মীদের ভালভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে৷

 

হান এমব্রয়ডারি লিমিটেড (বাংলাদেশ) ২০১৬

লাইসেন্সধারী জেফির গ্রাফ-এক্স(জেফির) এর জন্য কলেজিয়েট ক্যাপ অলঙ্কৃত করে এমন একটি সাব-কন্ট্রাক্টেড কারখানা ২৫ অক্টোবর, ২০১৫ তারিখে বন্ধ হয়ে যায়, তার কর্মীদের আইনত প্রয়োজনীয় বহিস্কারকৃ্ত রাশি না দিয়ে।গড়ে, শ্রমিকদের অনাদায়ী ক্ষতিপূরণে ছয় মাসের মজুরির সমান পাওনা ছিল। শ্রমিকরা ডব্লিউআরসিতে অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও কারখানাটিকে কলেজিয়েট পোশাকের সরবরাহকারী হিসাবে প্রকাশ করা হয়নি, ডব্লিু আর সি দ্রুত নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছিল যে কারখানাটি প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইসেন্সকৃত পণ্যের সরবরাহকারী ছিল। একটি তদন্ত পরিচালনা করার পর যা নিশ্চিত করেছে যে শ্রমিকদের আইনত প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, তখন  ডব্লিু আর সি জেফির-এর সাথে যোগাযোগ করেছে।

শ্রমিক দের প্রতি যে আইনের লঙ্ঘন হয়েছে তার প্রতিকার নিশ্চিত করার জন্য জেফির ডব্লিউ আর সি-এর সাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। জেফির তার সরাসরি সরবরাহকারী, হ্যান অ্যাপারেলের কাছ থেকে কর্মীদের সম্পূর্ণ  রাশি প্রদানের জন্য একটি প্রতিশ্রুতি চেয়েছিলেন এবং হ্যান অ্যাপারেলকে রাজি করাতে সফল হয়। ডব্লিউ আর সি তারপর তহবিল বিতরণ সংগঠিত করতে জেফির এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে কাজ করে।২৯ এপ্রিল থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে, সমস্ত শ্রমিকরা তাদের পাওনা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। ডব্লিউআরসি এবং জেফির হ্যান অ্যাপারেলের অনসাইট বিতরণের তত্ত্বাবধান করেছিল।

 

গোকালদাস ইন্ডিয়া (ভারত) ২০১৫

ডবলু আর সি -এর তদন্তে দেখা গেছে যে, এই ট্র্যাজেডির সময়, কারখানাটি শ্রমিকদের যোগ্যতা এবং অনসাইট শিশু যত্ন এবং জরুরী চিকিৎসা সহায়তার জন্য সরঞ্জাম সম্পর্কিত অসংখ্য রাষ্ট্রীয় বিধি লঙ্ঘন করেছিল, কিন্তু যদি কারখানাটি সেইসব প্রয়োজনীয় বিধিগুলি মেনে চলত, তবে হয়তো শিশুটির মৃত্যু এড়ানো যেত। এই ফলাফলগুলির বিশ্লেষণের মাধ্যমে, সেইসাথে উভয়েরই, সন্তানের মা-এর ক্ষতির ব্যাপকতা এবং কারখানার যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতি বিশ্লেষণ করেই (গোকালদাস এক্সপোর্টস-এর বেশিরভাগ মালিকানা রয়েছে- মাল্টি বিলিয়ন ডলারের প্রাইভেট ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম, ব্ল্যাকস্টোন গ্রুপের), ডবলু আর সি দৃঢ়ভাবে অনুরোধ করেছে যে গোকালদাস এক্সপোর্টস যেন শ্রমিক এবং তার পরিবারকে যথেষ্ট অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।

তাই আমরা আপনাদের জানাতে আনন্দিত যে, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫-এ গোকালদাস এক্সপোর্টস এবং গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (GATWU), একটি বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে আলোচনার পরে, কোম্পানিটি মৃত শিশুর মাকে তাঁর ক্ষতির কথা বিবেচনা করে অতিরিক্ত সহায়তা $১০,৫০০ (বা প্রায় নয় বছরের মজুরি) দিতে সম্মত হয়েছে। ।১৪ সেপ্টেম্বর সেই শ্রমিক এই অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ নিতে রাজী হন এবং তা গ্রহণ করেন।

 

অপটিমাম ফ্যাশন  ওয়্যার (বাংলাদেশ) ২০১৪

ডব্লিউ আর সি, একটি নেতৃস্থানীয় ফায়ার সেফটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম, হুঘেস অ্যাসোসিয়েট ইউরোপ, অপটিমাম ফ্যাশন পরিদর্শন করেছে, যা  ভিএফ কর্পোরেশনের জন্য কলেজিয়েট পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা। এই তদন্তে এইকেন্দ্রটিতে অসংখ্য গুরুতর অগ্নি নিরাপত্তার ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শ্রমিকদের কারখানা থেকে পালানোর অপর্যাপ্ত উপায়, অপর্যাপ্ত জরুরী আলো, কাঠামোগত ত্রুটি যা আগুন লাগলে কারখানা জুড়ে মারাত্মক ধোঁয়া ছড়িয়ে দিতে পারে, এবং অন্যান্য নিরাপত্তা লঙ্ঘন যার ফলে আঘাত বা মৃত্যু হতে পারে। ডব্লিউ আর সি  সংশোধনমূলক পদক্ষেপের জন্য একাধিকবার সুপারিশ করেছে। ডব্লিউ আর সি-এর ফলো-আপ পরিদর্শন অপ্টিমাম ফ্যাশনে আগুনের ঝুঁকি মোকাবেলায় খুব সামান্য উন্নতি প্রকাশ করেছে।

 

তাযরিন ফ্যাশন্স (বাংলাদেশ) ২০১২

২৪ নভেম্বর, ২০১২ তে একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে, ১১১ জন নিঃশ্বাসের সাথে ধোঁয়া শ্বসনের কারণে এবং আগুন থেকে বাঁচার চেষ্টা করার জন্য উপরের তলা থেকে লাফ দিয়ে বা পুড়ে মারা গিয়েছিল। ফায়ার অ্যালার্ম বাজানোর পরে, ভবনটি খালি করার পরিবর্তে, ম্যানেজাররা শ্রমিকদের কাজে ফিরে যেতে বলেছিলেন। তাজরিন-এর কারখানাটি ওয়ালমার্ট দ্বারা একাধিকবার নিরীক্ষিত হয়েছিল এবং তা লি অ্যান্ড ফাং এবং সিএন্ডএ সহ অন্যান্য বড় ক্রেতাদের  দ্বারা কার্যত নিশ্চিত। কারখানার দ্বারা প্রকাশিত নথি অনুসারে, ওয়ালমার্ট অডিটগুলি গুরুতর সমস্যা চিহ্নিত করেছে, কিন্তু ওয়ালমার্ট নিরীক্ষা প্রক্রিয়া স্পষ্টতই অগ্নি নিরাপত্তার কোনো উন্নতি কথা চিহ্নিত করেনি।

 

গরিব &গরিব (বাংলাদেশ) ২০১০

২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার গাজীপুর জেলার গরিব ও গরিব সোয়েটার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২১ জন শ্রমিক, যাদের মধ্যে ১৫ জন মহিলা, শ্বাসরোধে মারা যান এবং কয়েক ডজন শ্রমিক গুরুতর আহত হন। স্পষ্টতই বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে, সাততলা কারখানার প্রথম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল এবং জানালাগুলি বন্ধ থাকায়, ভালভাবে বায়ুচলাচল না হওয়ার কারণে ভবনটি দ্রুত  ধোঁয়ায় পূরণ হয়ে যায়। কারখানার  তিনটি প্রধান বেরোনর রাস্তার মধ্যে দুটি তালাবদ্ধ ছিল এবং কারখানার সিঁড়ি ও ছাদে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দমকল কর্মীদের ধাতব জানালার গ্রিল কেটে ফেলতে  হয়েছিল শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য, তারপরে তারা বেশ কয়েকটি জীবন বাঁচাতে সফল হয়েছিল।

 

শাহী এক্সপোর্টস (ভারত) ২০১০

২০০৯ সালের মার্চ মাসে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির পর প্রায় এক বছর ধরে, বেঙ্গালুরুতে পোশাক উৎপাদনকারীরা বৈধ প্রয়োজনীয় মজুরি দিতে ব্যর্থ হয়। লাখ লাখ শ্রমিক তাদের ন্যায্য উপার্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রায় ৫০,০০০ শ্রমিকদের নিয়ে, শাহী এক্সপোর্টস ছিল বেঙ্গালুরুতে সবচেয়ে বড় উৎপাদক। ডবলু আর সি যখন শাহীর কাছে লঙ্ঘনের প্রমাণ পেশ করে, তখন ম্যা্নেজমেন্ট প্রকাশ্যে ন্যূনতম মজুরি আইন লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করে, এবং বলে যে ব্যাঙ্গালোরের এই শিল্পে এটি একটি সাধারণ অভ্যাস। ম্যানেজমেন্ট বিশ্বাস শিল্প বিশ্বাস করে যে এই বৃদ্ধিটি অবাঞ্ছিত ছিল অভ্যাসটিকে চালু রাখতে এবং সরকারকে ন্যূনতম মজুরি হ্রাস করার জন্য অনুরোধ করেছিল। ম্যানেজমেন্ট এই অভ্যাসটির পক্ষ নিয়েছিল কারন তাদের বিশ্বাস ছিল যে এই বৃদ্ধিটি অযৌক্তিক ছিল এবং তারা ন্যূনতম মজুরি হ্রাস করার জন্যও সরকারকে অনুরোধ করেছিল।আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে ডবলু আর সি-এর এই ব্যাপক মজুরি লঙ্ঘনগুলির প্রকাশের ফলে ১১০,০০০ -এরও বেশি শ্রমিকরা নিজেদের বকেয়া বেতন ফিরে পেয়েছেন এবং তাদের মজুরি বৃদ্ধিও হয়েছে-যার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পোশাক তৈরি করে যারা সেইসব শ্রমিক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক নামী পোশাকের ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতাদের জন্য উৎপাদনকারী শ্রমিকরাও রয়েছেন। ডবলু আর সি নিশ্চিত করেছে যে বর্তমান ন্যূনতম মজুরি এখন শহরের  সমস্ত রপ্তানিতে রত পোশাক কারখানায় দেওয়া হচ্ছে।

 

সানম্যান গ্রুপ অফ কোম্পানিজ (বাংলাদেশ) ২০০৯

ডব্লিউ আর সি  শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক পোশাক ব্র্যান্ডগুলির সাথে কাজ করেছে, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম পোশাক প্রস্তুতকারক, এবং সেই দেশের প্রথম স্বাধীন গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সানম্যান ফ্যাক্টরিতে অ্যাসোসিয়েশনের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের প্রতিকারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। আইনি এবং বাস্তব বিষয়গুলি সোজাসাপটা ছিল - ২০০৯ সালের মে মাসের শেষের দিকে কারখানাটি পাঁচজন শ্রমিককে বদলি বা বরখাস্ত করেছিল যারা কারখানার শ্রমিকদের দ্বারা গঠিত একটি ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, যখন ইউনিয়নের নিবন্ধনের আবেদন তখন শ্রম মন্ত্রকের কাছে মুলতুবি ছিল - এমন কিছু বাংলাদেশী শ্রম আইনে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ।

বিষয়টি বিশেষভাবে সময়োপযোগী ছিল কারণ বাংলাদেশ সেই সময়ে, সামরিক-সমর্থিত "তত্ত্বাবধায়ক" শাসন দ্বারা শাসিত হওয়ার পরে, সম্প্রতি গণতান্ত্রিক শাসনে ফিরে এসেছিল, যার অধীনে মেলামেশার স্বাধীনতা উল্লেখযোগ্যভাবে সীমাবদ্ধ ছিল। এই মামলাটি বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট গার্মেন্ট ইউনিয়ন ফেডারেশনের (বিআইজিইউএফ) সদস্যদের দ্বারা ডব্লিউ আর সি-তে আনা প্রথম অভিযোগের প্রতিনিধিত্ব করে, যা বাংলাদেশের পোশাক খাতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম অরাজনৈতিকভাবে-জোটবদ্ধ, নারী-নেতৃত্বাধীন, ট্রেড ইউনিয়ন।  সৌভাগ্যবশত, যে পোশাকের ব্র্যান্ডগুলি সানম্যানের সাথে ব্যবসা করছেন – ফিলিপস ভ্যান হিউসেন (পিভিএইচ), গ্যাপ, Incআইএন্সি., এবং এইচ&এম – সেই সমস্ত ব্র্যান্ডগুলির সরবরাহকারী এবং শ্রমিকদের অধিকারের সমর্থকদের সাথে আচরণবিধির বিষয়ে গঠনমূলকভাবে জড়িত থাকার রেকর্ড রয়েছে। উপরন্তু, এটা আরও কৃতিত্বের যে, সানম্যানের ম্যানেজমেন্ট, যদিও প্রাথমিকভাবে বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের পুনঃস্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল, তখন সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য তারা  ডব্লিউ আর সি-এর সাথে ক্রমাগত আলোচনায় জড়িত থাকার ইচ্ছা পোষণ করেছে।

জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের শুরু পর্যন্ত, সানম্যান-এর ম্যানেজারগণ এবং ডব্লিউআরসি প্রতিনিধিরা মামলার সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করে স্মারকলিপি বিনিময় করেন এবং পিভিএইচ-এর স্থানীয় অফিস দ্বারা আয়োজিত একাধিক বৈঠকে মুখোমুখি সাক্ষাৎ করেন। ডব্লিউ আর সি প্রতিনিধি এবং সানম্যান ম্যানেজার উভয়ই পৃথকভাবে গ্যাপ এবং এইচএন্ডএম-এর স্থানীয় এবং আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের সাথে মামলার বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন। এই কথোপকথনগুলি ৭ সেপ্টেম্বরে একটি চুক্তিতে গিয়ে পরিণতি পেয়েছিল, যা সানম্যান এবং বিআইজিইউএফ উভয়ের কাছেই গ্রহণযোগ্য ছিল এবং সেইসব সমস্যাগুলি যা বিরোধ সৃষ্টি করেছিল তা সমাধানে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছে৷ সবচেয়ে ইতিবাচকভাবে, সানম্যান ম্যানেজমেন্ট রাজি হয়েছে, এবং তারপর থেকে বরখাস্ত করা তিনজন কর্মী নেতাকে পুনর্বহাল করেছে এবং বকেয়া রাশি পরিশোধ করেছে। তদনুসারে, এই শ্রমিক নেতারা কোম্পানির বিরুদ্ধে তাদের বিচারাধীন মামলা প্রত্যাহার করতে সম্মত হন।কোম্পানী ইতিমধ্যে চতুর্থ কর্মীর স্থানান্তর প্রত্যাহার করতে এবং তাকে তার আসল অবস্থানে ফিরিয়ে দিতে সম্মত হয়েছে। পঞ্চম কর্মী নেতা এর আগে বিচ্ছেদ সুবিধা গ্রহণ করেছিলেন এবং পুনর্বহাল না করার জন্য নির্বাচন করেছিলেন। যদিও শ্রমিক নেতাদের পুনর্বহাল করা কারখানায় সমিতির স্বাধীনতা প্রয়োগের পরিবেশের উন্নতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ,তবুও কিছু উল্লেখযোগ্য বাধা রয়ে গেছে। ডব্লিউ আর সি-এর সুপারিশ সত্ত্বেও সামগ্রিক নিষ্পত্তির অংশ হিসেবে এই প্রচেষ্টা বন্ধ করে দেওয়া সত্ত্বেও সংস্থাটি ইউনিয়নের নিবন্ধনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে, যদিও, কোম্পানিটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তার চ্যালেঞ্জ মুলতুবি থাকা অবস্থায় কারখানায় ইউনিয়নের কার্যক্রমকে সম্মান করবে এবং তাতে হস্তক্ষেপ করবে না

পিভিএইচ এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্সেলা মানুবেন্সের ভাষায়, সানম্যানে যে অগ্রগতি হয়েছে তা হল, "সংলাপ, বোঝাপড়া, দ্বন্দ্ব প্রতিরোধ এবং কার্যকরী সমাধান খোঁজার একটি ভাল, ইতিবাচক উদাহরণ।" এটি দেখায় যে এমনকি সমিতির স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা সম্পর্কিত বিরোধগুলি - প্রায়শই শ্রম অধিকার পর্যবেক্ষণে সবচেয়ে বিতর্কিত সমস্যা হিসাবে দেখা হয় - একটি সংঘাতহীন পদ্ধতিতে সমাধান করা যেতে পারে যদি এখানে, জড়িত পক্ষগুলি এমন একটি রেজোলিউশনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় যা শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারগুলিকে সমর্থন করে এবং সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উপায় হিসাবে সংলাপ এবং পারস্পরিক চুক্তিকে গ্রহণ করে। এখানে প্রাপ্ত ফলাফলের মূল চাবিকাঠি ছিল সানম্যান ম্যানেজমেন্টের একটি রেজোলিউশনকে স্বীকৃত দেওয়ার দিকে অগ্রগতি অর্জন, যার অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের পুনর্বহাল করা এবং তাদের ব্যাক-পে-এর দেওয়া - এইভাবে এই ধরনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক প্রতিকারের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা। দলগুলো এখন পর্যন্ত যে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি করেছে এবং তা টিকিয়ে রাখতে পারছে, তা নিশ্চিত করার জন্য ডব্লিউ আর সি সানম্যানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা চালিয়ে যাবে।

 

ম্যাক্স এম্বো (বাংলাদেশ) ২০০৮

ডব্লিউ আর সি এর এক তদন্তে, দাদা ঢাকা এবং ম্যাক্স এম্বো উভয় ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার অধিকারের গুরুতর উলঙ্ঘন পাওয়া গেছে।

 

দাদা ঢাকা (বাংলাদেশ) ২০০৮

ডব্লিউ আর সি এর এক তদন্তে, দাদা ঢাকা এবং ম্যাক্স এম্বো উভয় ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার অধিকারের গুরুতর উলঙ্ঘন পাওয়া গেছে।